ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সনদের মান কিসের সমমান?
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সনদের মান কিসের সমমান?
অনেকেই বলেন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সার্টিফিকেট হলো এইচএসসির সমমান। অথচ তারা প্রমাণ হিসেবে কিছু চাকরির বিজ্ঞপ্তি ছাড়া আর কিছুই উপস্থাপন করতে পারছেন না। অর্থ্যাৎ মুখের কথা ব্যতিত ভ্যালিড কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
অথচ বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সরকারি ওয়েবসাইট রিসার্চ করে জানা যায় যে, ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মান গ্রেড-১৪ যেখানে এইচএসসি’ র মান গ্রেড-১২ এবং অনার্সের মান গ্রেড-১৬। (চাকরির গ্রেড নয় শিক্ষার গ্রেড) এছাড়া এইচএসসিকে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে আর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংকে দেখানো হয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরের মাঝামাঝি স্থানে।
এবার চাকরি ক্ষেত্রে এই কোর্সের মর্যাদা কেমন জেনে নেয়া যাক।
একজন এইচএসসি সনদ-ধারী তৃতীয় শ্রেণীরকর্মচারী হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন, বেতন স্কেল – মূল বেতন ৯৩০০/- সর্বসাকুল্যে ২২৪৯০/- টাকা এবং তাকে সারাজীবন একই পদে চাকরি করে যেতে হয় অর্থাৎ তার কোন পদোন্নতি হয় না।
আর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশ করেন। বেতন স্কেল-মূল বেতন ১৬০০০/ – সর্বসাকুল্যে ৩৮৬৪০/- টাকা তারা ক্রমে ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হতে পারেন। যা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত কাউকে পেতে হলে অন্ততপক্ষে অনাস‘ অথবা মাস্টার্স সম্পন্ন হতে হয়।
আবার ডিপ্লোমা শেষে পাওয়ের সেক্টরে চাকরি করলে তার বেতন হবে ৳ ৩০-৯০ হাজার টাকা । যেটা একজন সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত স্টুডেন্ট কখনোই ভাবতেই পারবে না।
অনেকে যুক্তি দেখান যে-
যদি কেউ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আবার বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ি তবে জেনারেলদের চেয়ে তাদের দুই বছর বেশি সময় ব্যয় করতে হয়। হ্যাঁ কথা সত্য তবে
এখানে আপনি দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী পাচ্ছেন।
১. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
২. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী।
এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আপনি এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উভয় পদে আবেদন করতে পারবেন।
সুতরাং ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কখনোই এইচএসসি এর সমমান নয়। বরং এইচএসসি এর চেয়ে একধাপ এগিয়ে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট