বিসিএস

বিসিএস নিয়ে জিজ্ঞাসার উত্তর

প্রশ্ন : আমি বর্তমানে একটি সরকারি চাকরিতে কর্মরত আছি। ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করার আগে আমাকে কি আমার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে?

—নজরুল ইসলাম

উত্তর : আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত থাকলে আপনার সব কাজই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও চাকরি বিধি অনুযায়ী করতে হবে। তাই আপনি সিভিল সার্ভিস বা যেকোনো সরকারি চাকরিতে যেখানেই কর্মরত থাকুন, নতুন চাকরিতে আবেদনের আগে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং ভাইভা বোর্ডে বর্তমান কর্তৃপক্ষের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেখাতে হবে।

এ ক্ষেত্রে একটি বাড়তি সুবিধাও আছে। যথাযথভাবে আবেদনের ফলে নতুন চাকরিতে যোগদান করলে আপনার আগের সার্ভিস মূল্যায়ন করা হবে।

অর্থাৎ নতুন চাকরিতে যোগদানের পর আগের চাকরির সর্বশেষ বেসিক থেকে আপনার নতুন বেতন স্কেল (প্রযোজ্য হলে) পেতে পারেন।

প্রশ্ন : আমি ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করতে চাই। কিন্তু আমাদের স্থায়ী কোনো বসতি নেই, ভাড়া বাসা বাড়িতে থাকি। তবে বাবা নিজস্ব জমি কেনা আছে। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানার জায়গায় আমি কোন ঠিকানা ব্যবহার করব? ভবিষ্যতে কি কোনো সমস্যা হবে?

—তন্ময় ঘোষ

উত্তর : ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিকত্ব নিয়ে বলা হলেও আবেদনের জন্য স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে আগে জেলা কোটা নির্ধারণে স্থায়ী ঠিকানায় নিজস্ব জমি থাকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন সব প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থা নেই। তাই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে যে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়া আছে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় আপনাকে সহজেই শনাক্ত করা যাবে, স্থায়ী ঠিকানায় এমন ঠিকানা দেবেন।

প্রশ্ন : পুলিশ ক্যাডার চয়েস দিলে বাড়তি ওজন কিংবা স্থূলতা থাকলে সমস্যা হবে?

—সালমান ইবনে মামুন

উত্তর : ৪৩তম বিসিএসের পুলিশ ও আনসার ক্যাডার প্রার্থীদের দৈহিক যোগ্যতা হিসেবে ন্যূনতম ওজন পুরুষদের ৫৪.৫৪ কেজি ও মহিলাদের ৪৫.৪৫ কেজির কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ওজনের কথা কিছু বলা হয়নি। তাই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বাড়তি ওজন কোনো সমস্যা নয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে পুলিশ ও আনসার ক্যাডারদের যে বিভাগীয় প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হয়, সেখানে শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ক্যাডার চয়েস দিন। তবে একটু সময় দিলেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং প্রশিক্ষণে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে এসেছে—এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে।

প্রশ্ন : আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষ হবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি। আমি কি ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করতে পারব?

—মহসিন হোসেন

উত্তর : নভেম্বরে (২০২০) প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অ্যাপেয়ার্ড প্রার্থীদের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের সব পরীক্ষা শেষ হতে হবে। তবে ৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের বক্তব্য এসেছে। তিনি বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাছে আবেদনসীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। একই সঙ্গে অনার্স চতুর্থ বর্ষে স্থগিত পরীক্ষা শুরুর রুটিনও দেওয়া হয়েছে। এদিকে একই দিন পিএসসির পক্ষ থেকেও আবেদনের সময় বাড়ানো হবে নিশ্চিত করা হয়। তবে কত দিন সময় বাড়বে সে ব্যাপারে এখনো দাপ্তরিক ঘোষণা আসেনি। আপনার পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আবেদনসীমা বৃদ্ধি সাপেক্ষে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

বিসিএস নিয়ে আপনারা দরকারি অনেক তথ্য জানতে চেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে আপনাদের জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছেন ৩৫তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে DailyResultBD.com ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group