সমন্বিত সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২০
সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২০ নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এই টেষ্ট হবার পর দ্রুত সমন্বিত ৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। আবেদনেই বাছাই করার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে।
সমন্বিত ভাবে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৭৪ হাজার ৪৫৬ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষা দিতে পারবে ৩৫ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থী। বাদ পড়েছে ৩৮ হাজার ৯৯৬ জন।
বাছাই করা হয়েছে জিপিএর ভিত্তিতে। এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ন্যূনতম যাদের ৯.১৫ (চতুর্থ বিষয় বাদে) রয়েছে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
সাত/ ৭ টি সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২০ অনলাইনে https://admission-agri.org / https://admission-agri.org/results.php তে পাওয়া যাবে এই রেজাল্ট।
সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ৩০ নভেম্বরই হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নির্দেশাবলী মেনে যথাসময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।
জানা গেছে, দেশের সাতটি কৃষি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু সমন্বিত পদ্ধতিতে সাতটি কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যার মাত্র দশগুণ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে
যারা পরীক্ষা দিতেই পারবে না অথচ তাদের থেকে এত টাকা নেয়া হল কেন এবং জিপিএ যদি ৯.১৫ পর্যন্তই নেয় তাহলে ৭ পয়েন্ট হলেই আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল কেন তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
এছাড়াও ৭টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু এবার একসঙ্গে পরীক্ষা নিচ্ছে সেহেতু সিলেকশন রেঞ্জ অনেক কম।
সমন্বিত সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ অবশ্যই ভালো কিন্তু যোগ্যতা ৭ দিয়ে আবেদনের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ শুধু ৯.১৫ পয়েন্ট ধারীদের দেয়া প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
এক শিক্ষক জানান, অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের আর্থিক অনটন কিংবা পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল ৯.১৫-এর কম অথচ ৯.১৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় অধিক মেধাবী ও যোগ্য।
কিন্তু এ বাছাই প্রক্রিয়ায় অনেকেই যোগ্য হলেও তাদের বিকশিত হওয়ার পথ আগেই বন্ধ করে দেয়া হল।
ভর্তিতে যারা অংশ নিতে পারবে না তাহলে তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া উচিত বলে মনে করেন সমন্বি^ত সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক।
বিতর্কিত সিস্টেমের কারণে তারা তো অংশ নিতে পারবেই না আবার তাদের কাছ থেকে নেয়া আবেদনের টাকাও ফেরত দেয়া হবে না।
আবেদনের টাকা ফেরত দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, আমরা সব সময় শিক্ষার্থীবান্ধব চিন্তাভাবনা করে থাকি।
তাদের সুবিধার কথা ভেবেই আমরা সমন্বিত পরীক্ষা নিচ্ছি।