কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল 2019-2020 Session.
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল 2019-2020 Session. সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ৩০ নভেম্বরই হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নির্দেশাবলী মেনে যথাসময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি চলছে। পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।
জানা গেছে, দেশের সাতটি কৃষি প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু সমন্বিত পদ্ধতিতে সাতটি কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রী প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যার মাত্র দশগুণ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাকি সিংহভাগ আবেদনকারীকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান জিপিএ ফলাফলের ভিত্তিতে বাদ দেয়া হয়েছে যা বিজ্ঞপ্তিই উল্লেখ ছিল। এদিকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত আসনের ১০ গুণের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে না- এমন শর্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। শিক্ষা সচিব, সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ১১ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৪ নভেম্বর) এই রুল জারি করেন।
সাত/ ৭ টি সমন্বিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২০ অনলাইনে https://admission-agri.org / https://admission-agri.org/results.php তে পাওয়া যাবে এই রেজাল্ট।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আসন আছে তাতে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কিন্তু আবেদন করেছে ৭৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। আবেদনকারীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। ফলে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং সকল আবেদনকারীর অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে এ কার্যক্রমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। রোববার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এমন কথা বলেন।
মহিবুল হাসান বলেন, একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হবে। এতে করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নির্মম কষ্ট ও ভোগান্তি লাঘব হবে। পাশাপাশি সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে এই প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসবে।
উপমন্ত্রী বলেন, অনলাইনে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এখনও যারা বাধা সৃষ্টি করছেন বা নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন, তাদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। কোনো প্রতিবন্ধকতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে না বরং তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এ কার্যক্রম চালু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ইউজিসির সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করব। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় তা আলাপ-আলোচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি চালু করা হবে।
জোর করে কোনো আইন বা নিয়ম কারও ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে না- মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া চালুকরুণ সকলের দাবি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। এটি আমাদের আমাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। তাই কোনো বাধাই আমলে নেয়া হবে না।