ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার ফলাফল 2020
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার ফলাফল 2020 অনলাইনে দেখার নিয়ম নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৫-১৬ সেশনের স্নাতকোত্তর পর্বের চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। তবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কেন হয়নি তা জানার উপায় নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ক্যাম্পাস, ওয়েবসাইট—কোথাও উত্তর পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। আবার ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাস সাতেক আগে। এখনো ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। কবে হবে, সে প্রশ্নেরও উত্তর নেই।
সাত কলেজ অধিভুক্তির দুই বছর পার হওয়ার পর এ রকম নানা দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। অথচ সেশনজট দূরীকরণ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যেই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করা হয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বেশ এগিয়ে গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ মূল ক্যাম্পাসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল সেশনজটমুক্ত করা। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করেছি। এখন আর সেশনজট নেই। আমরা এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় যেসব কলেজ আছে সেগুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার রেজাল্ট Check Link-http://7college.du.ac.bd/result/index.php
অধিভুক্ত হওয়া শিক্ষার্থীরা বলছে, রাজধানীর সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তির দুই বছর পেরোলেও কোনো সুফল মেলেনি। বরং ভোগান্তি বেড়েছে। বছর শেষে চূড়ান্ত পরীক্ষা, ফল প্রকাশ কিংবা মানোন্নয়নের বিষয়ে কোথাও সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো বিষয়ে জানতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখিয়ে সেখানে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ মেলে। কিন্তু কোনো ফল আসছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বর্ষের শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯টি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আবার অধিভুক্তির পর চারটি পরীক্ষা আমরা নিয়েছি। আগের পরীক্ষা ফল পাওয়ার পরই সব কিছু সমন্বয় করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। আশা করছি, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ফল প্রকাশ, নতুন পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকরা থাকেন। এ পরীক্ষার ২০ শতাংশ খাতা মূল্যায়ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা; আর ৮০ শতাংশ মূল্যায়ন করেন কলেজের শিক্ষকরা। অধিভুক্ত হওয়ার পর শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।